Tuesday 30 August 2016

ফুটবলকে ধ্বংস করছে ময়দানের অশুভ সিন্ডিকেটা - মিস্টার এক্স

তোলাবাজি বন্ধের জন্য রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। সিন্ডিকেটের নামে তোলাবাজি করলে গারদে পুরছে পুলিশ। কিন্তু তোলাবাজি তো শুধু সিন্ডিকেটে হয় না। অন্যত্রও হয়। আমাদের ময়দানে কয়েক বছর ধরে তোলাবাজির কারবার চালু হয়েছে। সেই তোলাবাজদের জেলে পোরা হোক।
তোলাবাজি মানে হল ঘুষ। ঘুষ মানে তোলার বিনিময়ে ঘুষদাতাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়। কে ঘুষ দেয়? যে অপরাধী সে অপরাধ ঢাকার জন্য দেয়। অথবা আগামী দিনে আরও অপরাধ করার জন্য ঘুষ দেয়। এছাড়াও যে মনেপ্রাণে দুর্বল, যে জানে ঘুষ না দিলে কোনও কাজে সফল হতে পারবে না সে ঘুষ দেয়।

আমাদের কলকাতায় একটি ক্লাব আছে যারা লিলুয়া পেরলে জিততে ভুলে যায়। অর্থাৎ তারা জানে তারা দুর্বল। জিততে হলে লিলুয়ার এপারেই জিততে হবে। কিন্তু সেই  ক্লাব তো শুধু দুর্বল নয় অপরাধীও বটে। তাদের জেতার একমাত্র উপায় হল, অন্যায় পেনাল্টি থেকে, অফ সাইড থেকে গোল করা,  বিপক্ষকে অন্যায় লাল কার্ড দেখানো, অ্যাডেড টাইমের পরেও ৯ মিনিট না খেলা, বিপক্ষের গোল বাতিল না করা ইত্যাদি।
এখন এই সুবিধাগুলো দেয় কারা? যারা দেয় তাদেরও তো বিনিময়ে কিছু দিতে হবে। তাই প্রতি বছর তারা রেফারিদের সম্বর্ধনা দেয়। আচ্ছা কেউ যদি পুলিশকে টাকা দেয় তার মানে কী? হয় সে অপরাধ করেছে নয়তো আগামী দিনে অপরাধ করবে। তেমনই কোনও ক্লাব যদি রেফারিকে সম্বর্ধনা দেয় তার মানে হল সেই ক্লাব বাড়তি সুবিধা চাইছে। 
মোহনবাগান টালিগঞ্জ ম্যাচে সেই বাড়তি সুবিধার নমুনা দেখা গেল। ওই কেলাব জানে, সম্বর্ধনা দিলে রেফারিরা এমন অনেক গোল অফসাইড বলবে। রেফারিরা জানে অফসাইড দিলে আগামী দিনে সম্বর্ধনা পাওয়া যাবে। গিভ অ্যান্ড টেক পলিসি।
এটা কি তোলাবাজি নয়? ঘুষ নয়? আইনে বলে যে ঘুষ দেয় আর যে ঘুষ খায় দুজনেই সমান অপরাধী। ময়দানের এই তোলাবাজদের গ্রেপ্তার করা হবে না?

No comments:

Post a Comment